Jibansmriti Archive

রাগ থেকে প্লেব্যাক: দুটি বাংলা ছবিতে হিন্দি গানের তুলনামূলক বিশ্লেষণ – সুচেতনা ভট্টাচার্য্য

শাপমোচন (১৯৫৫) এবং ইন্দ্রাণী (১৯৫৮) – এই দুটি বাংলা চলচ্চিত্রে হিন্দি ভাষার গান ব্যবহারের দৃষ্টান্ত বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক বিশেষ আলোচনার দাবি রাখে। উভয় ক্ষেত্রেই গানগুলির ভাষা হিন্দি হলেও তাদের সংগীতের কাঠামো, শৈল্পিক অভিব্যক্তি এবং চলচ্চিত্রীয় প্রয়োগ এতটাই ভিন্ন যে, শুধুমাত্র কালক্রমে আগে আসার কারণে শাপমোচনের গানটিকে “ফিল্মি গান” হিসাবে গণ্য করা যায় না। বরং […]

ইন্দ্রাণী : আকাশ হ’ল বড়ো – সমীপেষু দাস

সিনেমা যখন থেকেই মধ্যবিত্ত জীবনের ঘরের কথা হয়ে উঠল, তখন থেকেই আর শুধু সিনেমার গল্প নয়; বরং যাকে নিয়ে গল্প, সেই চরিত্র-ও দর্শকের কাছে জীবন্ত রয়ে গেল চিরদিনের জন্য। পুরাণ, ইতিহাস ঝেড়ে ফেলে এবারে গল্প হ’ল “আমি-তুমি” র কথা। তাই সিনেমার নামেও বদল আসতে লাগল। উত্তমকুমার বা সুচিত্রা সেন বাংলা সিনেমার একটা ব্র্যাণ্ড হয়ে উঠলেন। […]

ইন্দ্রাণী (১৯৫৮): উত্তম কুমারের জন্মশতবর্ষে এক পুনঃমূল্যায়ন – সুচেতনা ভট্টাচার্য্য

উত্তম কুমারের জন্মশতবর্ষে তাঁর অসংখ্য কালজয়ী ছবির মধ্যে ইন্দ্রাণী (১৯৫৮) বিশেষ আলোচনার দাবি রাখে। নিছক এক প্রেমের গল্পের আড়ালে এই ছবি মধ্যবিত্ত সমাজে নারীর আত্মনির্ভরতা, পুরুষের অহংকার এবং দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনকে স্পষ্টভাবে সামনে আনে। নীড়েন লাহিড়ীর পরিচালনায়, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের কাহিনি অবলম্বনে এবং হরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রে উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন এক নতুন সামাজিক বাস্তবতার […]

অর্ঘ্য: সুর, স্মৃতি ও দৃশ্যভাষায় রবীন্দ্রনাথের অমৃতযাত্রা” – সুচেতনা ভট্টাচার্য্য

২০১৬ সালে নির্মিত অরিন্দম সাহা সরদারের তথ্যচিত্র “অর্ঘ্য” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুদিন, ২২-শে শ্রাবণ, ঘিরে এক গভীর আবেগময় ভ্রমণ। জীবনস্মৃতি আর্কাইভের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে তৈরি এই ডকুমেন্টারিটি সুর, দৃশ্য ও স্মৃতির বুননে রবীন্দ্রনাথের অমৃতযাত্রা ও সৃষ্টিশীল উত্তরাধিকারকে নতুনভাবে সামনে আনে। এটি শুধু একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তকে নথিভুক্ত করে না—বরং দর্শককে স্মৃতি, দর্শন ও সঙ্গীতের মাধ্যমে অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে […]

ডানকুনি পাঠভবন-এর ৩৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ ও বর্ষামঙ্গল প্রসঙ্গ । অনুরণ বসুরায়

রবীন্দ্র-শিক্ষাদর্শে পরিচালিত  পাঠভবন ডানকুনির প্রতিষ্ঠা ১৯৯২ সালের ১০ই আগস্ট। প্রতিবছর এই দিনটিতে পালিত হয় বৃক্ষরোপণ ও বর্ষামঙ্গল উৎসব। প্রকৃতির সঙ্গে মিলতে না পারলে শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই, বৃক্ষরোপণ ও বর্ষামঙ্গলের মতো অনুষ্ঠানের বিশেষ আয়োজন। শান্তিনিকেতনের বৃক্ষবিরল রুক্ষ প্রান্তরকে সবুজ করে তুলতে চেয়েছিলেন কবি। লিখেছিলেন ‘মরুবিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে  হে প্রবল প্রাণ’। রবীন্দ্রনাথ বৃক্ষরোপণকে শুধু […]

একটি দৃশ্য-শ্রাব্য উপস্থাপনা : প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্প পোস্টমাস্টার – মৌমিতা পাল

পোস্টমাস্টার ও রতন। কলিকাতা ও উলাপুর গ্রাম। এই দুইয়ের ব্যবধান কোনোভাবেই ঘোচে না। আর চূড়ান্ত পরিণতিতে আসে নিষ্ঠুর অবহেলা আর করুণ বিচ্ছেদ। ‘… জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া ফল কী। পৃথিবীতে কে কাহার।‘ – গল্পের শেষে এমন তত্ত্ব কথা উদ্ধৃত করে সান্ত্বনা পাওয়ার চেষ্টা হলেও তা কোনোভাবেই রতনের চোখের জল থামাতে পারে […]

রবীন্দ্রনাটক যখন ‘ড্রামাটিক’ – সমীপেষু দাস

পর্ব : পাঁচ রবীন্দ্রনাথ ততদিনে ‘কবি’ হয়ে উঠেছেন। এমনকি জীবনস্মৃতি-র শেষ প্রবন্ধ ‘কড়ি ও কোমল’-এ একেবারে শেষে বলে গেলেন যে তাঁর কাব্য আগে ছিল বর্ষার মেঘ কিন্তু আগামি সময়ে তা হবে মেঘ-রৌদ্রের ঋতুর খেলা। তাই ১৮৮৬-র সময়কেই রবীন্দ্রনাথ নিজেই এক সন্ধিকাল বলে পাঠককে মনে করালেন। তাঁর জোড়াসাঁকো পর্ব ক্রমশঃ শেষ হচ্ছে। ওদিকে তখনও শান্তিনিকেতনে উপাসনাগৃহ […]

রবিঠাকুরের সঙ্গে – শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়

রবিঠাকুরের সঙ্গে মাঝেসাঝে দেখা হয়ে যায়— বাজার-ফিরতি বাঁকে, বোঝাই বাসের পাদানিতে, আড্ডার রগড়ে, রকে, মোদিত বাংলার ঠেকে, ভিড়ের সড়কে, কিংবা কানা কোনো গলি-পেটে। # এই তো সেদিন, গেলো মাসে তেসরায়— তখনও নামেনি বৃষ্টি, চলেছে আকাশ জুড়ে, আষাঢ়ে দিগন্তে শুধু পুঞ্জমেঘে ঘন কোলাকুলি, কাঁঠালের ভূতি, আঁঠি, মাছের কানকা, খোসা, রাশ রাশ আরও যত যা রাবিশ তখনও […]

একটি দৃশ্য-শ্রাব্য উপস্থাপনা : প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্প মণিহারা – মৌমিতা পাল

‘…..আপনার স্ত্রীর নাম কী ছিল।’ আমি কহিলাম, ‘নৃত্যকালী।‘   এই বাক্য বিনিময়ের পরেই গল্পের সমস্ত অলৌকিক নির্মাণ আবার ফিরে আসে বাস্তব সত্ত্বায়। ১৮৯৬ সালে রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অলৌকিক ছোট গল্প ‘মণিহারা’ পাঠকের সামনে এক অদ্ভুত দ্বৈত আখ্যান তৈরি করে। এখানে শুধু দুই কথক, দুই শ্রোতা নন; তার সাথে পুরুষ-নারীর দুই সত্ত্বা, আবার বাস্তব-পরাবাস্তব দুই জগতের […]