পরিচালক অসিত সেন ছবির প্রযোজককে সসংকোচে বললেন, ‘আপনার জন্য তো কোনও চরিত্রই নেই এই ছবিতে।’ প্রযোজক বললেন, ‘আমি প্রডিউসার বলে আমাকে থাকতে হবে নাকি!’
নীহাররঞ্জন গুপ্তের কাহিনি এবং নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ের চিত্রনাট্যে সমৃদ্ধ উত্তমকুমার ফিল্মস প্রা. লি.-এর দ্বিতীয় নিবেদন ‘উত্তর ফাল্গুনী’ প্রসঙ্গে উপরের এই কথালাপ।
এই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। কিন্তু উত্তমকুমার ছাড়া এই ছবি কি চলবে? এই নিয়েও ইন্ডাস্ট্রিতে শুরু হয়েছিলো কানাঘুষো। কারণ সেকালে টলিপাড়ায় একটা ধারণা ছিলো যে, উত্তমের স্ক্রিন প্রেজেন্স ব্যতীত সিনেমা কখনই হিট হয় না। যদিও উত্তম ছাড়া সুচিত্রার আরও হিট ছবি ছিলো সেই সময়। এই সব ভাবনাকে এক্কেবারে ভুল প্রমান করে ‘উত্তর ফাল্গুনী’ বক্স অফিসে সুপার-ডুপার হিট হলো। শুধু তাই নয়, সে বছর সেরা বাংলা ছবির জাতীয় পুরস্কার এবং সেরা অভিনেত্রীর জন্য বিএফজেএ পুরস্কার পেলেন সুচিত্রা সেন। উত্তমকুমারের ঝুলিতে এই ছবি কেবল অর্থই নয়, নিয়ে এলো বহু সম্মান।
বিশেষ করে সেই যুগে কলকাতার স্টুডিওগুলির ফিল্ম-টেকনোলজি অর্থাৎ যন্ত্রপাতি ইত্যাদি নির্মাণ-সরঞ্জামের মান ও সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করলে আজও অবাক হতে হয়, কী ভাবে একই শট্-এ মা ও মেয়ের চরিত্রে সুচিত্রা সেন কে দেখানো সম্ভব হয়েছিলো। চলচ্চিত্রশিল্পের সব দিকগুলি বিচার করলে (অভিনয়, ক্যামেরা, সম্পাদনা, সংগীত এবং পরিচালনার গুণ) অসিত সেনের ‘উত্তর ফাল্গুনী’ ভারতীয় চলচ্চিত্র-যাত্রাপথের একটি অবিস্মরণীয় মাইলফলক।
অরিন্দম সাহা সরদার
অবেক্ষক, জীবনস্মৃতি আর্কাইভ
অনুষ্ঠান সার্থক হোক। শুভেচ্ছা রইল।
ওয়েবসাইট এর জন্য অকুন্ঠ অভিনন্দন।
জয় হোক। 🌿💐🌿
অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। আর্কাইভের পাশে থাকবেন। আপনার বন্ধুদের শেয়ার করবেন আমাদের ওয়েবসাইট লিঙ্ক : jibansmritiarchive.com