১৯৬৭ -এ শীতকালীন ছুটির সময় বিহারের মধুপুরে পারিবারিক ভ্রমণে গিয়েছিলেন মৃণাল সেন। স্ত্রী গীতা ও পুত্র কুণাল ছাড়াও সেই ভ্রমণের সঙ্গী ছিলেন তাঁর দুই ভাই, শাশুড়িমা এবং কুণাল সেনের পোষা কুকুর পিকু। একই জায়গায় শুটিং চলার কারণে মাঝে মধ্যে অনুপকুমার অবসর সময়ে দেখা করতে আসতেন তাঁদের সঙ্গে। ঘুরতে যাওয়ার কিছু দিন আগেই মৃণাল সেন মাদ্রাজে এক বিদেশি পর্যটকের কাছ থেকে একটি ৮এমএম মুভি ক্যামেরা কিনেছিলেন। এই ভ্রমণের আগে মাত্র একটিবার এই ক্যামেরা তিনি ব্যবহার করেন। ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফিরে কোডাক থেকে ফিল্ম প্রসেস করানো হয়। কিন্তু এই ফর্মেটের প্রজেক্টর যন্ত্র না থাকায় তা দেখার সুযোগ আর হয়ে ওঠেনি। ২০১০-এ কুণাল সেন শিকাগোতে বসবাসকালীন সেই রিলটিকে ফিল্ম ফর্মেট থেকে ডিজিটাল ফর্মেটে ট্রান্সফার করেন। যদিও ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের এই নির্বাক ছবির অবস্থা খুবই খারাপ, তবুও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা মাথায় রাখলে এর সংরক্ষণ যে কতখানি জরুরি কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মুভিং ইমেজের একটি দুটি অংশ ছাড়া বাকি সবটাই মৃণাল সেনের নিজের তোলা। সামান্য কিছু অংশ যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে তা কুণাল সেন তুলেছিলেন। সম্প্রতি এই মুভিং ইমেজটি কুণাল সেন জীবনস্মৃতি আর্কাইভকে তার ইউটিউব চ্যানেলে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন। মৃণাল সেন কে যাঁরা আজও মনে রেখেছেন এবং আগামী প্রজন্ম যাঁরা মৃণাল সেন চর্চা করবেন তাঁদের চর্চার ক্ষেত্রে যদি এই উপাদানগুলি কোনও কাজে আসে সেই কথা ভেবে। আবহ সংগীত জীবনস্মৃতি আর্কাইভের পক্ষ থেকে ব্যবহার করা হয়েছে। মূল চলমানচিত্র নির্বাক ।
ভিডিও লিঙ্ক : https://youtu.be/IQgnQ3XovXM
অরিন্দম সাহা সরদার
অবেক্ষক, জীবনস্মৃতি আর্কাইভ