এই মঞ্চ অন্যরকম, এখানে কুশীলবদের অভিকর্ষ টান ওপর দিকে। ওপর থেকে সুতোর টানেই এদের কথা বলা, হাঁটা-চলা, ঠমক-গমক। অনেকটা যেন এই ঐহিক যাপনেরই দর্শন। ‘এই কি তবে ঠিক হলো যে দশ আঙুলের সুতোয় তুমি ঝুলিয়ে নেবে আমায়/ আর আমাকে গাইতে হবে হুকুমমতো গান?’ হ্যাঁ, এখানেও যাঁর হুকুমে সুতোর ওঠা-নামা অর্থাৎ যিনি ‘কল-কাঠি’ নাড়াচ্ছেন তিনি থাকেন সাইক্লোরামার পেছনে। এভাবেই আড়াল থেকে শিল্পী বলে যান নানান কাহিনি, পর্দায় ফুটে ওঠে নানা গল্প। পুতুল-নাচের এই মঞ্চে এক অন্যতম খ্যাতনামা শিল্পী হলেন স্বপ্না সেন। পুতুল শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য বানানো হলেও এ পুতুল বা পাপেট ছেলেখেলার বিষয় নয়। পাপেট কখনো মানুষের মতো, কখনো বিভিন্ন প্রানীর অবয়বে, কখনো আবার বিমূর্ত আকারেরও হতে পারে। সময়ের সঙ্গে নানা ভোল পালটে নেচে, গেয়ে, বিভিন্ন দেশের নানান চরিত্রের গল্প দেখায় এরা। এই পুতুলের ইতিহাস শুরু সেই খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ যুগ থেকেই। পৃথিবীর সমস্ত দেশের সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে পুতুলের অস্তিত্বও জুড়ে আছে। গ্রীক, মিশরে যেমন ছিল তেমনই প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিশেষতঃ এশিয়ায় ভারত, চীন, জাভা প্রভৃতি বিভিন্ন দেশগুলোতে নানান ধরণের পুতুলের কথা জানা যায়। এই পুতুলের সঙ্গেও জুড়ে ছিল ‘যাদু’, মনের নানান ইচ্ছে পূরণের জন্য ‘মানত’। সভ্যতার ইতিহাসে দেখা যায় ‘কাল্ট’ মূর্তি বানিয়ে তাকে দেব-দেবী রূপে পুজো করেছে মানুষ বেঁচে থাকার পথকে সুগম করতে। অপর দিকে নিজের প্রতিবিম্ব রচনা করতে মানুষ তৈরি করেছিল পুতুল। এমনকি পুতুল-নাটকের ইতিহাসও বহু শতাব্দী প্রাচীন। এমনই এক মাধ্যমকে তাঁর শিল্পী জীবনের মূল বিষয় করে নিয়েছেন স্বপ্না সেন।

এক বাক্স গল্প। বাক্স খুললেই বেরিয়ে পড়ে হরেক রকম চরিত্র। তারা কখনও কাঠির ঠেলায়, কখনও আবার সুতোর টানে নানান কাজ করে যায়। আর সেই বাক্স নিয়ে হাজির হয়ে যান শিল্পী স্বপ্না সেন এদিক থেকে ওদিক। স্বল্প পরিসরেও তৈরি হয়ে যায় পুতুল-নাটকের আবহ। বিদেশে এমনকি আমাদের দেশেও সত্তর, আশির দশকে ‘হিউম্যান থিয়েটার’এর আদলেই মঞ্চে সেট, আলো নিয়েই পরিবেশিত হতো ‘পাপেট থিয়েটার’, যেমন বিল বেয়ার্ড, কোরা বেয়ার্ড এর ‘দ্য সাউন্ড অফ মিউজিক’, কিংবা এ শহরে ‘ক্যালকাটা পাপেট থিয়েটার’ এর প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ দত্তের কাজ। কিন্তু আরেক প্রবাদপ্রতিম শিল্পী রঘুনাথ গোস্বামীর দলে কাজ করতে এসে স্বপ্নার পছন্দ হলো পুতুলের ‘টাইনিনেস’। ছোট পুতুল বহন করা যেমন সহজ তেমনই যে কোনো জায়গাতেই বসানো যায় গল্প বলার আসর। অনেকটা বাদল সরকারের ‘ইন্টিমেট থিয়েটার’ এর মতো যা দর্শকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করে নিতো। মানুষের সামনে মানুষকে নিয়ে কাজ করাই স্বপ্নার ব্রত।

১৯৬৫ সালে আসানসোলের বার্নপুর গার্লস স্কুল থেকে দশম শ্রেণীর পরীক্ষা আর ১৯৯৯ তে আমেরিকার সিয়াটেলের ইউনিভার্সিটি অফ্ ওয়াশিংটনে পাপেট উৎসবে আমন্ত্রণ কিংবা ১৯৮৫ তে মস্কোতে পুতুল নাটকের নামী শিল্পী সের্গেই ওবরাজৎসভের প্রোডাকশন হাউসে পৌঁছে যাওয়ার যাত্রাপথটি ছিল কঠোর পরিশ্রম এবং নিজের শিল্পবোধের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উজাড় করে দেওয়ার ফসল। কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে বার্নপুর। সেও এক শিল্পাঞ্চল। লোহা আর ইস্পাত শিল্পের অন্যতম কেন্দ্র। ইস্পাতের কাঠিন্য সরিয়ে মাঝে মাঝেই সেই শহরে বসতো নানান সাংস্কৃতিক আসর। বার্নপুরের ভারতী ভবনে কখনও নবনীদাস বাউল, কখনও হেমন্ত, মানবেন্দ্রদের আধুনিক আবার কখনও বা রবিশঙ্কর, আলাউদ্দীনের ধ্রুপদী সুরে কেটে যেত সারা রাত। আবার দেবব্রত বিশ্বাস সহ বহু নামী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীরাও সেখানে অনুষ্ঠান করেছেন। তবে সবচেয়ে মজার ছিল মাঠে পর্দা টাঙিয়ে সিনেমা দেখা কিংবা খোলা মঞ্চ তৈরি করে নানান যাত্রা পালার আয়োজন। পড়াশোনার থেকে এ সবেই ছিল বালিকা স্বপ্না সেনের বিশেষ আগ্রহ। এগুলোর পাশাপাশি ছিল ভেনাস কোম্পানির পেন্সিল আর গিটার কোম্পানির জলরং। ছবি আঁকা শেখার আলাদা ব্যবস্থা না থাকলেও ভালো লাগার টানেই চলতো ক্যালেন্ডার কিংবা পত্রিকার অলঙ্করণ থেকে মকশো করা। এই ক্যালেন্ডারেই যার আঁকা ছবি তিনি ছোটবেলায় দেখেছিলেন, বিজ্ঞাপন জগত এবং পুতুল নাচের দুনিয়ায় বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব সেই রঘুনাথ গোস্বামীই পরবর্তী জীবনে হয়ে উঠেছেন স্বপ্না সেনের আইকন। ছোটবেলা থেকে অবচেতনে সঞ্চিত নানা অভিজ্ঞতাই পুতুল-নাটকের আবহে কিংবা কম্পোজিশনে প্রতিফলিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

কলকাতায় দিদিমার বাড়ি বেড়াতে এলেই জাদুঘরে ঘুরতে যাওয়া হবেই। আর সেখানে বিশেষ আগ্রহের বিষয় ছিল ভারতীয় মিনিয়েচার পেইন্টিং। পরবর্তীতে রঘুনাথ গোস্বামীর দলে কাজ করতে গিয়ে তাই হয়তো ছোট মাপের পুতুলগুলিরও উজ্জ্বল অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে শিল্পী স্বপ্নার কোনো অসুবিধেই হয়নি। ১৯৬৭ তে সেই জাদুঘরের পাশেই অবস্থিত সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়েই ভর্তি হন স্বপ্না সেন। ভর্তির পরীক্ষার জন্য তেমন কোনো আগাম প্রস্তুতি না থাকলেও তাঁর অফুরান আগ্রহ দেখে তাকে আঁকা শেখাতে রাজী হয়ে যান প্রসিদ্ধ চিত্রকর শ্রী সত্যেন ঘোষাল। আর্ট কলেজের সিলেবাস অনুযায়ী রেজাল্ট ভালো করতে চলতে থাকে ফোলিয়েজ স্টাডি, হাওড়া, শিয়ালদহের স্টেশনে কিংবা আস্তাবলে বসে স্কেচ। কিন্তু প্রথাগত শিক্ষার বাইরে শিল্পের যে ভুবন তা তাকে বারবারই আকর্ষণ করেছে। তাই বিভিন্ন প্রদর্শনী, সিনেমা, থিয়েটারের আড্ডা সবকিছুর মধ্যে দিয়েই চলছিল তার শিল্পশিক্ষা। এভাবেই আলাপ হয়েছিল ভাস্কর মীরা মুখার্জী, চিত্রকর বাঁধন দাসের সঙ্গে। সত্তরের দশকের কোলকাতা তখন একদিকে ভিয়েতনামের যুদ্ধ, অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক ভাবাদর্শে উত্তাল। ১৯৭০ এই আলাপ হলো শিল্পী নবেন্দু সেন এর সঙ্গে। একদিকে ভারতের স্বাধীনতার ওপর সিরিজ, আবার ঐ সত্তরেই লেনিনের শতবর্ষ নিয়ে কাজ করলেন নবেন্দু সেন। তৈরি হচ্ছিল নতুন রাজনৈতিক চেতনা, যা কাজের স্পৃহাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল- ঐ বছরেই স্বপ্না সেনের কাজ নির্বাচিত হয় আর পৌঁছে যায় সোভিয়েত রাশিয়ায়। পরের বছরেই ছবির প্রদর্শনীর সুত্রে আলাপ হয় খ্যাতনামা শিল্পী রঘুনাথ গোস্বামীর সঙ্গে, যিনি সেইসময় বিজ্ঞাপন, বই অলঙ্করণ, আবার নাটকের জগতেও এক বিখ্যাত নাম। ১৯৬১ তে রঘুনাথ ভারতবর্ষের প্রথম পাপেট চলচ্চিত্র ‘হট্টগোল বিজয়’ তৈরি করেন যা শ্রেষ্ঠ শিশু চলচ্চিত্র হিসেবে স্বর্ণ পদক লাভ করে। স্বপ্নার কথায় ‘ রঘুদা তখন অ্যানিমেশনের বিকল্প হিসেবে পাপেটকে দেখছেন’। সেই ’৭১ সাল থেকেই স্বপ্না যুক্ত হন রঘুনাথ গোস্বামীর ‘দ্য পাপেটস’ গ্রুপে। বিভিন্ন প্রদেশের পরম্পরাগতভাবে বানানো পুতুল-নাচে শুধু রামায়ণ, মহাভারতের গল্প বলা নয়, এখানে নানান আঙ্গিকে পাপেটের প্রয়োগ নিয়ে চলত বিবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিদেশের নানা ছবি, চলচ্চিত্র দেখা হতো দলের অফিসে, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইটজারল্যান্ড কিংবা অ্যামেরিকায় কিভাবে পাপেটকে সেই সময়ের মুখপত্র করে তোলা হচ্ছে সেসব নিয়ে হতো তুমুল আলোচনা। আর এই আবহে মুগ্ধ স্বপ্না যোগ দিলেন মনোযোগী শিষ্যা হয়ে আর ধীরে ধীরে নিজেই হয়ে উঠলেন পুতুল-নাটকের বিশিষ্ট শিল্পী।

ফুলব্রাইট ফেলোশিপ নিয়ে ১৯৯৯ সালে স্বপ্না পাড়ি দিলেন অ্যামেরিকাতে। সেখানে দেখলেন বিল আর কোরা বেয়ার্ডের ‘ম্যারিওনেট থিয়েটার’, যেখানে ‘সাউন্ড অফ মিউজিক’ কাহিনির রূপায়ণে ব্যবহৃত হয়েছিল দশ ফুট উঁচু ম্যারিওনেট অর্থাৎ সুতোয় বাঁধা পাপেট। দেখলেন ‘মাপেট’ এর সৃষ্টিকর্তা জিম হেন্সনের গুরু বিল বেয়ার্ডের লেখা বই ‘দ্য আর্ট অফ দ্য পাপেট’। দেখলেন কিভাবে পাপেট-নাটকে উঠে আসছে রাজনীতি, সমাজনীতির মতো বিষয়। অ্যামেরিকার ভারমন্টে পিটার শ্যুমানের ‘ব্রেড অ্যান্ড পাপেট থিয়েটার’ এ দেখলেন যে তারা এমন এক সমাজ বানাতে চেষ্টা করছে যেখানে শিল্প হবে খাদ্যের মতোই জীবনের অন্যতম মৌলিক প্রয়োজন। এর আগেই ১৯৮৫ তে অবশ্য স্বপ্না গিয়েছিলেন মস্কোতে। সেখানে সাক্ষাৎ হয় রাশিয়ার বিখ্যাত পাপেটিয়ার সের্গেই ভ্লাদিমিরভিচ ওবরাজৎসভ এর সঙ্গে, যিনি ছিলেন সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাপেট সংগ্রাহকদের মধ্যে অন্যতম। কলকাতায় দেখেছেন হীরেন ভট্টাচার্যকে যিনি বছরে পঞ্চাশটা শো করছেন আর তাঁর নাটকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতো রাজনৈতিক মতবাদ। সেসময় ভারতের অন্যতম বিখ্যাত পাপেটিয়ার ছিলেন সুরেশ দত্ত। বড় থিয়েটার স্টেজে রীতিমতো নাটকের সেট তৈরি করিয়ে তিনি শো করতেন। এ সমস্ত কিছুই ঋদ্ধ করেছে স্বপ্নাকে। কিন্তু তাঁর বিশেষ পছন্দের ছিল ছোট পাপেট যা দিয়ে যে কোনো জায়গাতেই, ছোট পরিসরের মধ্যেও নাটক দেখানো যাবে। পুতুল-নাটক হবে সবার জন্য, সে বিনোদন হোক কিংবা লোকশিক্ষা।

পাপেট হয় অনেক ধরণের। প্রাদেশিক বিশেষত্ব তো আছেই তাছাড়া কার্যগতভাবেও অনেক রকমের হয় যেমন ‘দস্তানা পাপেট’, ভেনট্রিলোকুইস্টরা যেমন ব্যবহার করেন। এছাড়া তিনটে কাঠির ওপর ভর দিয়ে থাকে ‘রড-পাপেট’ যেমন ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায়, এরপর ‘ম্যারিওনেট’ বা ‘স্ট্রিং পাপেট’ অর্থাৎ সুতোয় চালানো পুতুল যা আমাদের রাজস্থান সহ বহু জায়গাতেই পুতুল-নাচের পরম্পরার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আরেকরকমের পুতুল হলো ‘ছায়া-পুতুল’ বা ‘শ্যাডো পাপেট’, যা চীন, জাভা, থাইল্যান্ডের পুতুল-নাচের ট্র্যাডিশনাল রূপ। এতে স্বচ্ছ একটি পর্দার পিছনে আলো রেখে কাট-আউট ফিগার বানিয়ে তাদের ছায়া ঐ পর্দায় ফেলে পুতুল-নাটক দেখানো হয়। এই ছায়া-পুতুলই হলো স্বপ্না সেনের সবচেয়ে পছন্দের। এর সঙ্গে সুর আর কথা যোগ করে দারুণভাবে গল্প বলে যান তিনি। ঠিক যেন সিনেমার মত পর্দায় ঘোরাফেরা করে কুশীলবরা। হয়তো ছোটবেলায় বার্নপুরে মাঠের মাঝে পর্দা টাঙিয়ে সিনেমা দেখার স্মৃতিই প্রতিফলিত হয় এখানে। তাঁর মতে নাচ, গান, অভিনয়, স্থাপত্য বিষয়ে ধারণা এ সব কিছু মিলিয়েই সফল পুতুল-নাটক সম্ভব। পুতুল-নাটকের মধ্যে দিয়েই তিনি খুঁজে পেয়েছেন শিল্পের সম্যক রূপ। নিজের মতো কাজ করার জন্য ১৯৯৫ তে রঘুনাথ গোস্বামীর মৃত্যুর পর ‘সিম্পল পাপেট’ নামে দল তৈরি করেন তিনি। ছোটবেলায় স্বপ্নার মা বলতেন- শুধু নিজের জন্য বেঁচো না। তাই বোধহয় নিজেকে পৃথক চিত্রশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না করে পাপেট থিয়েটারের মাধ্যমে নিজেকে সংযুক্ত করেছেন বহু মানুষের সঙ্গে। এখনও শিশুদের জন্য কাজ করে যান তিনি, অশক্ত শরীরেও পৌঁছে যান পুতুল তৈরির বিভিন্ন কর্মশালায়। বাচ্চাদের সামনে তাদেরই তৈরি করা পুতুলগুলো নেচে গেয়ে কথা বলে ওঠে। এখনকার শিশুদের কাছে যতই অ্যানিমেটেড কার্টুনের বিনোদন থাকুক, তবু নিজের হাতে পুতুল বানিয়ে তাকে দিয়ে নিজের তৈরি গল্প বলিয়ে নেওয়ার মধ্যে যে সামগ্রিক আনন্দের উৎস্রোত তার রেশ অনেকখানি। আর সেই পথই দেখিয়ে চলেছেন পাপেটিয়ার তথা শিল্পী স্বপ্না সেন।
জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ব্লগ
যুগ্ম সম্পাদক : অরিন্দম সাহা সরদার অবেক্ষক এবং সভাপতি, জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ।
বিয়াস ঘোষ সম্পাদক, জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ।
প্রধান সহযোগী সম্পাদক : মৌমিতা পাল
সহযোগী সম্পাদক মণ্ডলী : প্রমিতি রায় । অঙ্কুশ দাস । কুণাল গুপ্ত
প্রথম বর্ষ । প্রকাশ – ২ । ২২ জুন ২০২৫
Very good writing.I Knew more about puppets and Artist Swapna Sen.🙏🙏