শেষ কিস্তি

প্রতিবেশী শিল্পী পাবলো পিকাসো। তাঁকে নিয়ে ডেভিড ডগলাস ডানকান আলোকচিত্র তুললেন তিনবারে। প্রথমে ১৯৫৭-৫৮ তে। নাম দিলেন ‘প্রাইভেট ওয়ার্ল্ড অফ পাবলো পিকাসো’। ‘পিকাসো’ স পিকাসো’ ১৯৬১ তে। শেষ বার ‘গুডবাই পিকাসো’ ১৯৭৪-এ। এই শেষ বই তে ছবির কোনো নাম রাখা হয়নি। এ যেন একটা পরিক্রমা। এটা ছিলো ফরাসী দেশে, পিকাসোর কাজের জায়গা, Mougins, এ। আমি আগেই বলেছি অন্য কোনো আলোকচিত্রী কে এখান ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যা শিল্পী ১৯৭৩ সালে মৃত্যুর পর তালা বন্দী ছিলো। এটি সরকারি স্তরে বিশেষ অনুরোধে সম্ভব হয়েছিল। জ্যাকলিন, পিকাসোর শেষ বিবাহিত স্ত্রী র অনুমতিতে করা গিয়েছিলো। দা সাইলেন্ট স্টুডিও। পিকাসো যা শেষ পর্যন্ত জ্যাকলিন কে দিয়ে গিয়েছিলেন, যার মধ্যে সেই ভয়ংকর মুখের ছবিও ছিলো। এই রকম তথ্যচিত্র আর কোনো বিশ শতকের শিল্পীর পাওয়া যায় না।

ভ্যানগঘ, সেজান, ক্লী, মাতিস, জিওকেমেত্তি, কারও নয়। এই তিনটি বই এর বৈশিষ্ট্য তিন সময়ের দলিল। শিল্পী যখন জীবিত আর শিল্পী যখন মৃত, কিন্তু তার জীবন্ত উপস্থিতি প্রতিটি কোণে, বারান্দায়, দেওয়ালে, শূন্য ইজেলে, বসার চেয়ারে, আরাম কেদারায়, বই এর স্তুুপে, শুকনো তুলির সমারোহে। আমরাও যখন বিদায় নেবো, হয়তো তার কোনো, আলোকচিত্র কেউ তোলার তাগিদ অনুভব করবে না, স্বাভাবিক, তবুও তারা সেই ঘর, সেই ইজেল, সেই বইয়ের স্তুপ, সেই শুকনো তুলির সমারোহ, নিশ্চয়ই, শিল্পীর অভাব অনুভব করবে। শিল্পীর তাই তেমন ভাবে মৃত্যু নেই।

পিকাসো অতি অতি বিখ্যাত বলে তাঁর অনুপস্থিতি বেশি করে অনুভুত হয়। আমাদের হয়না। শিল্পের আকাশ ছোঁয়া আর্থিক মুল্য তাকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যায়। তবুও শিল্প, শিল্পই থেকে যায়। কেউ দেখুক বা না দেখুক। অভাব, অভাবই। কখনও পরিজন, পরিবারের কাছে, কখনও সমাজ বা দেশের কাছে, কখনও বৃহৎ পৃথিবীর কাছে।

প্রথম কিস্তির লিংক : https://jibansmritiarchive.com/shilpir-uposthiti-o-anupsthiti-hiran-mitra/
দ্বিতীয় কিস্তির লিংক : https://jibansmritiarchive.com/shilpir-upsthiti-o-anupsthiti-hiran-mitra/
ছবি সংগ্রহ : হিরণ মিত্র
জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ব্লগ
যুগ্ম সম্পাদক : অরিন্দম সাহা সরদার অবেক্ষক এবং সভাপতি, জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ।
বিয়াস ঘোষ সম্পাদক, জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ।
প্রধান সহযোগী সম্পাদক : মৌমিতা পাল
সহযোগী সম্পাদক মণ্ডলী : প্রমিতি রায় । অঙ্কুশ দাস । সুজাতা সাহা
প্রথম বর্ষ । প্রকাশ – ৩ । ৭ জুলাই ২০২৫