দ্বিতীয় কিস্তি

পিকাসো চলে গেলেন। ৮ এপ্রিল ১৯৭৩। একানব্বই বছর বয়সে। সকালে সহকারিণী দিনের শুরুর ধোঁয়া ওঠা কফি দিতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন, উনি নেই। খবর গেলো,মাদামের কাছে, মাদাম প্রথম যে কথাটা বললেন, বাড়ির মূল ফটক বন্ধ করো, আগে। সব কথা ছেড়ে, এমন নির্দেশ? কারণ তখন পিকাসোর ভুবন-জোড়া খ্যাতি। হাজার মানুষ, আলোকচিত্রী, সাংবাদিক, সবাই ঝাঁপিয়ে পড়বে এখুনি। কে আগে পৌঁছাতে পারে? তাই ফটক বন্ধ হলো। দুঃখের কথা এর কিছুকাল পরে, রহস্যজনক কারণে, জ্যাকলিন, মাদাম জেড, গুলি খেয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু এই ঘটনার আগেই, সেই আলোকচিত্রী ডেভিড ডগলাস ডানকান আবার আবদার করেন, মাদামের কাছে, সেই পঞ্চাশ দশকে, পিকাসো বর্তমানে যে কাজ করছিলেন তার সমাপ্তি হিসেবে, তাঁর অনুপস্থিতির ছবি তুলতে চান।

একটা অবর্তমান কী করে বর্তমান হয়ে উঠতে পারে। কী করে শিল্পীকে আবার সচল করে তুলতে পারেন। স্টুডিওর প্রতিটি আনাচ-কানাচে তাকে উপলব্ধি করা সম্ভব, তাই তুলতে চান। অনেক টালবাহানার পর একমাত্র ডানকানকেই এই অনুমতি দেওয়া হয়। কারণ পিকাসোর চলে যাবার পরেই এই স্টুডিও তালা বন্দি রাখা ছিলো। ডানকানই প্রথম ব্যক্তি, পরিবারের বাইরে যাকে অনুমতি দেওয়া হয়। সে এক আশ্চর্য চিত্র ভ্রমণ। স্তুপাকার ছবি, বই-পত্রিকা, হাজার ফেলে যাওয়া নানা বস্তু, ফাঁকা দোলা, আরাম কেদারা। ইতস্তত ছড়ানো, এক অদ্ভুত অবর্তমান।
ক্রমশঃ

কিস্তি একের লিঙ্ক : https://jibansmritiarchive.com/shilpir-uposthiti-o-anupsthiti-hiran-mitra/
জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ব্লগ
যুগ্ম সম্পাদক : অরিন্দম সাহা সরদার অবেক্ষক এবং সভাপতি, জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ।
বিয়াস ঘোষ সম্পাদক, জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ।
প্রধান সহযোগী সম্পাদক : মৌমিতা পাল
সহযোগী সম্পাদক মণ্ডলী : প্রমিতি রায় । অঙ্কুশ দাস । কুণাল গুপ্ত
প্রথম বর্ষ । প্রকাশ – ২ । ২২ জুন ২০২৫
One Response